সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১

সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’, সতর্কতা সংকেত বাড়ল

আমার সুরমা ডটকম:

শক্তি সঞ্চয় করে আরও ঘনীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এ পরিণত হয়েছে। এটি এখন ওই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সোমবার (২৪ মে) সকালে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে একই এলাকায় (১৬.৬০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৫০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (সোমবার) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

এদিকে ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে ঘনীভূত হচ্ছে ইয়াস। দিঘা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এটি অবস্থান করছে। আজ সোমবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে ইয়াস। বিকেলের দিকে সমুদ্রে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আরও শক্তি বাড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে উপকূলের দিকে এগোবে ঘূর্ণিঝড়টি।

রোববার রাত পৌনে একটা থেকে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। কোথাও একঘণ্টা, কোথাও বা তার বেশিক্ষণ ধরে ঝড়-বৃষ্টি চলতে থাকে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পরই এর গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া যাবে। তবে এখন পর্যন্ত এটি খুবই শক্তিশালী বা প্রলয়ংকারী হবে এমন শঙ্কা করা হচ্ছে না।’

সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার; যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোকিমটার পর্যন্ত বাড়ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। ২৬ মে বুধবার নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

ভারতের আবহাওয়া অফিস আইএমডি জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বিশেষ করে উত্তর-দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মালদাহ, দিনাজপুর, শিলিগুড়ি, দিনাজপুর, সিকিম, দার্জিলিং প্রভৃতি স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে।

দেশের ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে একই দিক থেকে হানা দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্পান। তবে সেটি পশ্চিমবঙ্গসহ দক্ষিণ ভারতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে গেলেও বাংলাদেশে ঢোকে শক্তি হারিয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com